Bengali Essays | বাংলা রচনা | Bangla Rachona | Bangla Essays
Bengali Essays | Bangla Rachona | Bangla Essays | বাংলা রচনা
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
শীতকাল - বাংলা রচনা | bengali essay on winter | bangla paragraph writing for class iii - vi.
শীতকাল
- লিঙ্ক পান
- অন্যান্য অ্যাপ
লেবেল
এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি, গোরু - বাংলা রচনা | bengali essay on cow | bangla paragraph writing for class iii - vi, জাতীয় পতাকা - বাংলা রচনা | bengali essay on national flag | bangla paragraph writing for class iii - vi, পরিবেশদূষণ ও প্রতিকার - বাংলা রচনা | bengali essay on environmental pollution and remedies | bangla paragraph writing for class iii - vi, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - বাংলা রচনা | bengali essay on rabindra nath tagore | bangla paragraph writing for class iii - vi, দুর্গাপূজা - বাংলা রচনা | bengali essay on durga puja | bangla paragraph writing for class iii - vi, বাংলার উৎসব - বাংলা রচনা | bengali essay on bengali festival | bangla paragraph writing for class iii - vi, ইদ উৎসব - বাংলা রচনা | bengali essay on eid festival | bangla paragraph writing for class iii - vi, শরৎকাল - বাংলা রচনা | bengali essay on autumn | bangla paragraph writing for class iii - vi, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু - বাংলা রচনা | bengali essay on netaji subhas chandra bose | bangla paragraph writing for class iii - vi, বর্ষাকাল - বাংলা রচনা | bengali essay on rainy season | bangla paragraph writing for class iii - vi.
শীতকাল রচনা (Shitkal Rochona)
আমাদের অনেকেরই প্রিয় ঋতু শীতকাল। শীতকাল বড্ড আরামের ঋতু, মন ভাল রাখার ঋতু। সব ঋতুরেই যেমন কিছু খারাপ দিক আছে ঠিক তেমনি শীতকালের ও কিছু খারাপ দিক আছে। আর সেই সব কিছু তুলে ধরবো শীতকাল রচনার মাধ্যমে।
শীতকাল রচনা ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রচনা মানেই তার মধ্যে সমস্ত রকমের তথ্য থাকবে। আর রচনা লিখার নিয়ম গুলো জানা থাকলে তোমরা সহজেই শীতকাল রচনা টি গুছিয়ে নিজ ভাষায় লিখতে পারবে।
যদি প্রশ্নপত্রে “তোমার প্রিয় ঋতু” নিয়ে রচনা লিখতে হয় সেক্ষেত্রেও এই রচনা টি লিখতে পারবে। আর এই ক্ষেত্রে তোমাকে “আমার প্রিয় ঋতু” হেড লাইন টি অবশ্যই লিখতে হবে। বাকী প্যারাগ্রাফ গুলো কিছু কিছু লিখতে হবে।
তাহলে শুরু করা যাক রচনা টি। ক্লাস ফোর থেকে শুরু করে ক্লাস টেন অবধি সব ছাত্র ছাত্রীর জন্যই রচনাটি উপযুক্ত। রচনা টির শেষে বলে দেব কোন ক্লাসের জন্য কোন কোন প্যরাগ্রাফ লিখবে।
শীতের সকাল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য অথবা শীতের সকাল রচনা চতুর্থ শ্রেণীর জন্য
এখানে শীতের সকাল নিয়ে কিছু বাক্য লিখব। তোমরা যারা চতুর্থ শ্রেণীতে পড়, “শীতের সকাল রচনা” পরীক্ষাতে এলে, নীচের কয়েকটি বাক্য লিখলেই হবে। তাহলে শুরু করা যাক রচনাটি।
শীতের সকাল আমার সবচেয়ে প্রিয়। এই সকাল টা কম্বলের মধ্যেই কাটিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। কিন্তু মা, বাবা আর পড়াশোনার চাপে কম্বল এর বাইরে আসতেই হয়। খুব সকাল বেলা টা চারিদিক কুয়াশা তে ঢেকে থাকে। রাস্তাঘাট দূর থেকে কিচ্ছু দেখা যায় না। এইজন্য খুব সাবধানে গাড়ী চালাতে হয়। কুয়াশার ঘোর কেটে গেলে পরে, ঘাসের ডগায় শিশিরবিন্দু দেখে জানি না কেন মন খুশীতে ভরে যায়। কবিরা শীতের সকাল কে নিয়ে অনেক কবিতা লিখে থাকেন। এই সকাল বাকী সব ঋতুর সকালবেলার চেয়ে অন্যরকম।
শরীরে আলস্য থাকে ঠিকই, কিন্তু কোন রকম অস্বস্তি বা ব্যাথা থাকে না। কারণ এই সময়ে খুব একটা রোগবাগ হয় না। শীতের সকালে সোয়েটার, টুপি পরে বেলকনি তে বসে চা খাওয়ার মজাই আলাদা।
এই সময়ে যদি দার্জিলিং যাওয়া যায়, তাহলে সেখানে সকালবেলা এক অন্য রকমের সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। চারিদিক বরফে ভরে যায়। পৃথিবী যেন ধবধবে সাদা কম্বলের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে।
শীতের সকালে মানুষ একটু দেরী করেই কাজ শুরু করে থাকে। সেইসঙ্গে কাজের স্পীড ও কমে যায়। তবে যারা দ্রুত কাজ করতে থাকে, তাদের খুব একটা ঠাণ্ডা লাগে না।
শীতের সকাল নিয়ে কিছু কথা
শীতের সকাল এমন এক সকাল যেখানে আলস্য শাস্তি পেয়ে থাকে, আর কর্মঠ মানুষেরা শীতের প্রকোপ থেকে নিজেদের কে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।
বেশ আরাম অনুভূত হয় শীতের সকালে। ঘুম থেকে উঠতেই ইচ্ছে করে না। তবে একবার কষ্ট করে উঠতে পারলে, তারপর বেশ ভালই লাগে।
সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে আমি বারান্দাতে আমার প্রিয় গাছগুলোর সাথে প্রত্যেকদিন কথা বলি। প্রায় সব গাছেই নানান রঙের ফুলে সেজে ওঠে। তারপরে নানান সবজি তে ভরা খিচুড়ি খেয়ে স্কুলে যাই।
সকালে যখন স্কুল বাস আসে, চারিদিক কুয়াশাতে ভরে থাকে। সে এক অদ্ভুত দৃশ্য। সাথে কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া। তারপরে স্কুলে পৌঁছে যাওয়ার পর খুব খেলাধুলো করলেও গরম লাগে না। যত খুশী খেলা যায় এই ঋতুতে। কিন্তু ক্লাস এ পড়াশুনো হলে খুবই ঠাণ্ডা লাগে।
সব ঋতুর মধ্যে শীতের সকাল আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। আর যেদিন গুলো স্কুল ছুটি থাকে, সেইদিন গুলো অবশ্য সেই সকালের স্নিগ্ধতা কম্বলের মধ্যে ঢাকা পড়ে যায়।
একটি শীতের দিন রচনা
পৌষ আর মাঘ এই দুই মাস শীতকাল। তবে গরমের শেষে যখন শীত ধীরে ধীরে উঁকি মারতে শুরু করে, তখন ও মাঝে মাঝে ঠাণ্ডা আমেজগুলো বেশ মনোরম লাগে।
ছুটির দিন গুলোর মধ্যে শীতের দিন আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। এমনই একটি দিন আমার কাছে চির স্মরণীয়। এই দিনে আমরা স্কুল থেকে পিকনিকে যাই।
সকাল সকাল বাড়ীর সামনে স্কুল বাস এসে হাজির হয়। মা আমার ব্যাগ আগের দিন রাত্রেই গুছিয়ে রাখে। আমি ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ আর চান করেই তৈরি হয়ে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়ি।
বাসের ওই জার্নি টা শীতের জন্যই এত আরামদায়ক হয়ে ওঠে। ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে সন্ধ্যেবেলার স্ন্যাক্স সব কিছুই বেশ খাওয়া হয়। খুব বেশী খাবার খেলেও খুব একটা সমস্যা হয় না। আর এটা সম্ভব হয় শীতের জন্য।
স্কুল বাসে সকল বন্ধুদের সঙ্গে প্রকৃতি কে পাশে রেখে পিকনিকে যাওয়ার মজাই আলাদা। প্রকৃতির সেই নানান রূপ দেখতে দেখতে মাঝে মাঝে আমি বিভোর হয়ে যায়। অনেক কবি তো এই রূপ এর মাধুর্য মেলে ধরে তাঁদের দ্বারা সৃষ্ট নানান রকমের শব্দ দিয়ে সাজান কবিতায়।
সেইসব কবিতা কিম্বা গান পাঠ করতে থাকি আমরা ।
বাস থেকে নেমে প্রতি বছর নতুন নতুন জায়গার প্রকৃতিকে নতুনভাবে দেখতে থাকি। কোন জায়গার সাথে অন্য কোন জায়গার মিল খুঁজে পাই না। সব যেন নতুন। প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ যেন নতুন। কখনো সূর্যের তেজ, কখন সূর্যালোকের অভাবে কনকনে ঠাণ্ডায় মেতে উঠি আমরা সকলেই।
তারপর একটা ফাঁকা জায়গা দেখে ব্যাডমিন্টন কিম্বা ক্রিকেট খেলতে থাকি। মধ্যাহ্ন ভোজনের ঘন্টা বেজে উঠলে সব্বাই মিলে খেতে বসে পড়ি। ওখানেই রান্নার আয়োজন করা হয়ে থাকে। কেউ কেউ আবার রান্নাতে সাহায্য ও করে থাকে।
একসাথে সব বন্ধুরা মিলে ঘাসের ওপর বসে গল্প করতে করতে খাওয়া এতটাই আনন্দদায়ক যে সেই আনন্দে অনেকটা খেয়ে ফেলি। তবে খাওয়ার পর আরেক দফা খেলা শুরু হয়। এর ফলে খাওয়া সহজেই হজম হয়ে যায়।
বাসে ওঠার আগে পার্কে ঘুরতে থাকি, কিম্বা বোটিং করতে থাকি। কতই না গল্প হয় এই পিকনিকের দিন।
পরের দিন থেকে খুব মন খারাপ হয় এই ভেবে যে আবার একটা বছর এর প্রতীক্ষা। তবে তার কিছু দিনের মধ্যে পরিবারের সকলে পিকনিক যাওয়ার প্রস্তুতি পর্ব চলতে থাকে।
শীতের দিন মানেই পিকনিকের দিন, শীতের দিন মানেই ঘুরতে যাওয়ার দিন, শীতের দিন মানেই ভারী ভোজন, শীতের দিন মানে অনেকক্ষণ ধরে আড্ডা, শীতের দিন মানেই গায়ে রোদ লাগান।
কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকাল
কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকাল বাকী সব ঋতুকে সৌন্দর্যে হার মানিয়ে দেয়। কুয়াশার জন্য মানুষের কাজের বিঘ্ন ঘটে। যানবাহন পরিষেবা ব্যাহত হয়। অনেক সময়ে রাস্তাঘাটে অনেক দুর্ঘটনা হয়ে থাকে।
কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকাল বাড়িতে বসে দেখতে খুব সুন্দর লাগে ঠিকই, কিন্তু যারা বাড়ীর বাইরে যাতায়াতে ব্যস্ত থাকে, তারা বেশ ভয়েই কাটায় এই সকালগুলো।
শীতকাল রচনা
এখানে বড়দের জন্য শীতকাল রচনা তুলে ধরবো। তবে তোমরা ওপরের কিছু তথ্যও এই রচনার মধ্যে লিখতে পারো। কিন্তু চেষ্টা করবে নিজের ভাষায় নিজের অনুভুতি লিখতে। পড়বে সব কিছু, কিন্তু লিখবে লিখবে নিজের ভাষায়। এতে তোমার লিখার দক্ষতাও বাড়বে। রচনাটি তাহলে শুরু করছি।
প্রকৃতির ছয় কন্যার মধ্যে পঞ্চম কন্যা হল শীতকাল। এই ছয় ঋতু, মানে ছয় কন্যা কে নিয়ে প্রকৃতি জমজমাট। কালীপূজার সময় থেকেই এই শীত অনুভূত হয়। তখন চলে হেমন্তের রাজত্ত্ব। হেমন্ত বিদায় নিয়ে হাজির করে শীতকাল কে।
আমাদের দেশে গরমের সময়সীমাই বেশী। বর্ষা সবার সময়েই ভাগ বসায় যদিও এরও একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। শরত আর হেমন্তের প্যাঁচপ্যাঁচে গরম থেকে মুক্তি পেতে প্রতিটি মানুষ শীতকালের অপেক্ষায় দিন গোনে।
শীতকাল বেশীরভাগ মানুষের কাছেই প্রিয় ঋতু। পৌষ আর মাঘ এই দুই মাসেই শীতের প্রকোপের রাজ চলে। তবে অঘ্রান মাসের শেষ থেকেই শীতকাল সকলকে জানিয়ে দেয় যে সে আসছে।
শীতকালের গুরুত্ব
গরমের তেজে সকল প্রাণী নিস্তেজ হয়ে পড়ে। আর ঠিক সেই সময়েই সকলের মনে সতেজতা ফিরিয়ে আনতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে শীতকাল। কখনো কখনো শীতের আসতে দেরী হলে, সে বর্ষার সাহায্য নিয়ে বৃষ্টির স্নিগ্ধতায় ভরিয়ে তোলে সকলের মন।
আর বৃষ্টি শেষ হলেই আচমকা শীত বিরাজ করতে থাকে। তখন সকল বাঙালি আনন্দে মেতে ওঠে। এই আনন্দ প্রতি ক্ষণের আনন্দ, এই আনন্দ প্রচুর কাজ করেও ফ্রেশ থাকার আনন্দ।
শীতকালে প্রচুর শাকসবজি পাওয়া যায়। বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলো, বিনস, লাল শাক, পালং শাক, শিম, পেঁয়াজ শাক, মটর শুটি, ইত্যাদি সব্জিতে বাজার ভরে ওঠে। এই সময় গরম পানীয় খেতে খুব আরামদায়ক লাগে।
শীতকালে প্রকৃতির রূপ
দিনটা শুরু হয় কুয়াশার মধ্য দিয়ে। কুয়াশা কেটে গেলে সূর্যের দেখা মিলে। প্রচুর মানুষ সকালের রৌদ্রে বেশ অনেকটা সময় কাটায়। এই সময়ে দিন ছোট আর রাত্রি বড় হয়। বিকেল ৫টাতেই সূর্য বিদায় নিয়ে থাকে।
সকাল বেলাতে কুয়াশা কেটে রৌদ্র ওঠার ঠিক আগে, ঘাসের ডগা সেজে ওঠে শিশিরে। প্রকৃতি শিউলি গাছের নিচে সাদা ফুলের চাদর মেলে ধরে। নানান সবজি, শস্য, ফুলে প্রকৃতি ভরপুর হয়ে ওঠে।
শীতকালে প্রকৃতি সেজে ওঠে নানান ফুলে যেমন চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, সূর্যমুখী, মর্নিং গ্লোরি, ডেইজি, কসমস, ইত্যাদি।
গ্রামের শীতকাল
গ্রামে শীতকালের তীব্রতা বেশী অনুভূত হয়। এর অবশ্য অনেক কারণ আছে। গ্রামে লোকসংখ্যা কম, বাতাসের দূষণ কম, গাছপালা আর পুকুরের সংখ্যা বেশী হওয়াতে, খুব জোরে হাওয়া চলতে থাকে। আর এই কনকনে হাওয়াই শহরের শীতকাল থেকে গ্রামের শীতকাল কে ভিন্ন করে তোলে।
শীতের প্রকোপ বেশী হলেও গ্রামের মানুষ খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়ে। খড় জ্বালিয়ে আগুন পোহায়, এতে শীতের তীব্রতা সেই সময়ের জন্য কিছুটা কম অনুভূত হয়।
গ্রামে শীতকালের চিত্র অসাধারণ। গ্রামের প্রতিটি ঘরে খুব সকালে প্রতিটি মানুষ যখন কর্মরত, ঠিক সেই একই সময়ে শহর তখনও কুয়াশার অজুহাতে তীব্র নিদ্রায় থাকে আচ্ছন্ন।
আবার রাত্রি ৮ টা , ৯টার মধ্যেই গ্রাম যখন নিদ্রার চাদর এ নিজেকে আবৃত করে ফেলে, শহর তখনো সারা দিনের কাজ শেষ করতে না পারায় দৌড়োতে থাকে।
শহরের শীতকাল
শীতকালেই প্রকৃতি চিনতে পারে কে অলস আর কে পরিশ্রমী। শহরে মানুষেরা শীতের সকালে কাজের শুরু করে অনেকটা সময় পরে। দূষিত বাতাস কুয়াশা দিয়ে সূর্যালোক কে ঢেকে রাখে।
শহরে পরিবেশ দূষণ, কম গাছপালার জন্য শীতের তীব্রতা গ্রামের মতো অনুভূত হয় না। শহরের মানুষ গ্রামের দিকে পিকনিক করতে বা বেড়াতে যায় এই সময়ে।
শহরের মানুষদের রাস্তার ধারে রৌদ্রে দাঁড়িয়ে গল্প করতে দেখা যায় এই সময়ে। অনেকে ছুটির দিনে চিড়িয়াখানা ঘুরতে যায়। এই সময়ে পশু পাখীরা গায়ে রোদ লাগাতে নিজের বাসস্থান থেকে বাইরে বেরোয় বলে বাঘ, সিংহ, হাতি, এবং নানান রকমের সাপ কে চিড়িয়াখানা তে দেখা যায়।
চিড়িয়াখানা, পার্ক গুলো ভরে ওঠে জনমানবে।
শীতকালের সুবিধা এবং অসুবিধা
অসুবিধার চেয়ে সুবিধাই বেশী শীতকালে। খুব বেশী খাবার খেলেও কোন সমস্যা হয় না। জাঙ্ক ফুড ও সহজেই হজম হয়ে যায়। নানান রকমের খাবার পাওয়া যায়। নানান জায়গায় ঘুরতে যাওয়া যায়। পিকনিকের আনন্দ প্রায় সবাই উপভোগ করে থাকে।
সকলের বাড়িতেই মকরসংক্রান্তির দিনে নানান রকমের পিঠে বানান হয়। এই পিঠে পুলির উৎসব বেশ কয়েকদিন ধরে চলতে থাকে। শীতকালে প্রচুর প্রোগ্রাম হয়ে থাকে।
খেলার মাঠে নানান রকমের খেলাধুলোর প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। পাড়াতে পাড়াতে যাত্রা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। বিবাহ অনুষ্ঠান ও এই সময়ে হয়ে থাকে।
তবে দরিদ্র মানুষের কষ্ট সুবিধার পাল্লা কে বেশ হাল্কা করে দেয়। দরিদ্র মানুষেরা, বয়স্ক মানুষেরা শীতের তীব্রতা সহ্য করতে না পারায় এদের অনেকেরই প্রানহানি ঘটে।
তাই অনেকে গরীব মানুষদের সোয়েটার, টুপি দান করে থাকে। এই সময়ে কোথাও ধাক্কা বা আঘাত লাগলে, বেশী ব্যাথা অনুভূত হয়। কারো হাড়ের সমস্যা থাকলে, এই সময়ে ব্যাথা বেড়ে যায়।
শীতের আগমনে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। এর ফলে কলকাতাতে ডেঙ্গুর আতঙ্কে দিন কাটায় বাঙালি। শীতের শেষে কোথাও কোথাও বসন্ত রোগ হয়ে থাকে। অন্য ঋতুর চেয়ে এই ঋতু তে কম রোগবাগ হয়ে থাকে।
শীতকালে অনুভুতি
শীতকালে বাঙালি আলস্যের আনন্দ উপভোগ করে, কিম্বা কাজ ছেড়ে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে চা খেতে খেতে আড্ডা দেওয়ার আনন্দ নিয়ে থাকে।
এ যেন একটু ধীরে চলার সময়। অন্য সব ঋতুতে দৌড়াতে ব্যস্ত বাঙালি, এই সময়ে যেন নিজেকে পুরো রিচারজ করে নিয়ে থাকে। কেউ ঘুরতে যাওয়ার মাধ্যমে, আবার কেউ আলস্যের মাধ্যমে নিজেকে এনারজেটিক করে তোলে। কেউ আবার মন ভরে, পেট ভরে খেয়ে সমস্ত স্বাদ মিটিয়ে নেয়।
শীতকাল সত্যিই এক অসাধারন অনুভুতি নিয়ে আসে সকলের মনে। এ যেন নিজেকে ভালবাসার ঋতু। এ যেন নিজের সাথে কিছুটা সময় কাটাবার সময়। ঘুম ভেঙ্গে গেলেও কম্বলের মধ্যে বেশ কিছুক্ষন নিজের সঙ্গে সময় কাটান আর অন্য কোন ঋতুতে সময় হয় না।
সুবিধা, অসুবিধা নিয়েই তো সব ঋতু। অসুবিধা থাকলেও সকলের কাছেই শীতকাল প্রিয় ঋতু। শীতের আমেজ উপভোগ করার জন্য সকল মানুষ অপেক্ষা করে থাকে। শীতের শেষে বসন্ত পেরিয়ে যখন গ্রীষ্ম আসে, তখন থেকেই শীতকাল এর আসার অপেক্ষায় থাকে মানুষ।
শীতের আসতে একটু দেরী হলেই মানুষ ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। শীতকাল বড্ড আদুরে কাল। কম সময় ধরে থাকে বলেই শীতকাল মানুষের কাছে এত ভালবাসা পেয়ে থাকে। সব মিলিয়ে শীতকাল মানুষের মনের ভেতরে অনেকটা জায়গা করে নিয়েছে।
আশা করি শীতকাল রচনাটি তোমাদের ভাল লেগেছে। কমেন্ট করে অবশ্যই জানিও রচনাটি কেমন লাগলো। এইরকম আরও অনেক রচনা পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখো এই সাইট টি। ভাল থেকো, সুস্থ থেকো।
Share this post:
One thought on “ শীতকাল রচনা (shitkal rochona) ”.
How lovely! This is a really fantastic piece of writing. Much obliged for the information you have supplied.
Leave a Reply Cancel reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name and email in this browser for the next time I comment.
সাম্প্রতিক পোস্ট
আমিষ ও নিরামিষ আহার (Amish O Niramish Ahar)
আমিষ ও নিরামিষ আহার নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা এখানে আলোচনা করবো। এইসবের...
টাকায় কি সব (Is Money Everything)?
নমস্কার বন্ধুরা! অনেকদিন পরে আবার একটা নতুন লিখা নিয়ে এসেছি তোমাদের কাছে।...
IMAGES
VIDEO